ফরহাদ হোসেন, ভোলা: [২]  ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানুদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরার জেলেরা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারের জন্য কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জাল ফেলছেন। কিন্তু মিলছে না কাক্সিক্ষত ইলিশ। 

[৩] দৌলতখান উপজেলার আলী আজগর মাঝি, মানিক মাঝি ও মনির হোসেন জানান, ৩-৪ জন মিলে পাই ছোট আকারের ৩-৪টি ইলিশ। ঘাটে বিক্রি করে তেলের টাকা পরিশোধ করে ভাগে একশ থেকে তিনশ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরা যায়। আবার কোনো কোনো জেলে ফিরছেন খালি হাতেই। 

[৪] বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের শীর্ষ মৎস্য বিজ্ঞানী ও ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিসুল রহমান জানান, ইলিশ মাছ গভীর সাগর থেকে ভোলার মেঘনা নদী দিয়ে প্রবেশ করে তেঁতুলিয়া ও পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীতে যায়। আর দেশের প্রায় ৩৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদন হয়ে থাকে ভোলায়। ইলিশ যখন সাগর থেকে ভোলা উপকূলের মেঘনা নদীতে প্রবেশ করতে গিয়ে ডুবোচরে বাধাগ্রস্ত হয় তখন দিক পরিবর্তন করে ফের সাগরের দিকে চলে যায়।

[৫] ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, ডুবোচর খননে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি খনন কাজ দ্রুত শুরু হবে। খনন হলে নদীতে ইলিশ সঙ্কট থাকবে না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব